নিরজ চৌহান
নিমতিতা–কাণ্ডে এবার তদন্তভার নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন–সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। এবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলার তদন্ত এনআইএ–র হাতে তুলে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও এ ঘটনার তদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা করুক, তাতে মত ছিল না রাজ্য সরকারের।
এনআইএ আইন, ২০০৮–এর ৬ (৫) নম্বর ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্র যদি মনে করে তা হলে দেশের যে কোনও রাজ্যের যে কোনও ঘটনার তদন্ত এনআইএ–কে দিয়ে করাতে পারে। কোনও ঘটনায় যদি গুরুতর অপরাধ হয়ে থাকে যা এনআইএ আইনের অধীনে তদন্ত করা দরকার, তা হলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাক পড়তেই পারে। ইতিমধ্যে নিমতিতা কাণ্ডে বিস্ফোরক আইনের ধারা ৩ এবং ৪, ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং ৩২৬ ধারায় (গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা) মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।
যদিও কেন্দ্রের এই তদন্তকারী সংস্থা এখনও কোনও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেনি, তবে সূত্রের খবর, তদন্ত চলাকালীন যদি কোনও জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম সামনে আসে তবে সেই ধারা অনুযায়ী তদন্ত এগোবে। যদিও এ ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘এটা বড়সড় ষড়যন্ত্র। কিছু লোকজন দলবদল করানোর জন্য জাকিরের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।’
এদিকে, নিমতিতা–কাণ্ডে তদন্তের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তদন্ত যতটুকু এগিয়েছে তার কেস ফাইল, প্রমাণ, নথিপত্র এবং হেফাজতে রাখা সন্দেহভাজনদের হস্তান্তর চেয়ে রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি লিখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহেই এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য সিআইডি। পাশাপাশি ঘটনাস্থল অর্থাৎ নিমতিতা স্টেশনে শীঘ্রই পরিদর্শন করতে যাবে এনআইএ।