বাগুইআটি জোড়া খুন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। তদন্তে নেমেছে সিআইডি। মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। তার মধ্যেই আবার খুনের ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। স্কুল ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তার কাকার বিরুদ্ধে। মন্তেশ্বরের পাটকেলডাঙা এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে। পুলিশ এসে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত কাকাকে। নেপথ্যে উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছে মন্তেশ্বরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাত্র বেলোয়ার হোসেন শেখ রোজকার মতো স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি ছাত্রটি। তখন সবাই খোঁজাখুঁজি সুরু করেন। ৯ বছরের খুদে পড়ুয়া নিখোঁজ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় পূ্র্ব বর্ধমানের পাটকেলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। পরে পুলিশের সাহায্যে বেলোয়ারের দেহ মেলে একটি কবরস্থান থেকে।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন ওই ছাত্রের পরিবারকে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রটির সঙ্গে দেখা করতে স্কুলে গিয়েছিল তার কাকা আবু শেখ। এখানেই সন্দেহ তৈরি হয়। এরপরই পুলিশে গিয়ে গোটা ঘটনা লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। তখনই তদন্তের স্বার্থে আবু শেখকে আটক করে পুলিশ। রাত ২টো পর্যন্ত চলে দফায় দফায় জেরা। তারপর কবরস্থান থেকে উদ্ধার হয় বেলোয়ারের দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
কেন এই খুন করা হল? এই প্রশ্ন নিয়ে তদন্তে নামতেই পুলিশ মৃত ছাত্রের মামার কাছ থেকে জানতে পারেন, অভিযুক্ত আবু শেখের সঙ্গে এলাকার এক আদিবাসী মহিলার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই মহিলার একটি কন্যা সন্তানও আছে। আবার ওই আদিবাসী মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মৃত ছাত্র বেলোয়ারের বাবার। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে ভাইয়ের প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান বেলোয়ারের বাবা। তারই প্রতিশোধ নিতে কাকা খুন করে ভাইপো–কে।