এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল। আর বাংলার ছাত্রীকে অপহরণ করে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই নাবালিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী। গড়িয়ার বাসিন্দা এই ছাত্রী মেধাবী বলেই খবর। কিন্তু এক যুবককে বিশ্বাস করেছিল সে। সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ওই নাবালিকা অপহরণ করে এক যুবক। তারপর তাকে ফুঁসলিয়ে গুজরাট নিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবক বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় গড়িয়া এলাকায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নাবালিকার আলাপ হয় ওই যুবকের সঙ্গে। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায়। তার পর ওই যুবকের পাতা ফাঁদে পা দিতেই নাবালিকাকে অপহরণ করে গুজরাট নিয়ে পালায় যুবক। গড়িয়ার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে গুজরাটে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায পুলিশকেও সেখানে যেতে হয়েছিল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাটের ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে অপহৃতা নাবালিকাকে উদ্ধার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। এই যুবক বড় পরিকল্পনা করেই অপহরণ করেছিল। ওই নাবালিকাকে দিয়ে দেহব্যবসার পরিকল্পনা ছকে ফেলেছিল সে। তাই গুজরাট থেকে অন্যত্র নাবালিকাকে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল। ধৃত যুবকের নাম শুভেন্দু বেরা ৷ তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার দাসপুরে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি জানতে জেরা করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ধৃত যুবককে আজ, সোমবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। নাবালিকার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় ওই যুবকের। নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অপহরণ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার নরেন্দ্রপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তখন তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণ, পকসো ও চাইল্ড ম্যারেজ আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। গুজরাটে এই চক্র রয়েছে। যার সঙ্গে জড়িত এই যুবক শুভেন্দু। তাই সেখানে চম্পট দিয়েছিল।