শিশু নির্যাতনের অভিযোগে উত্তাল হল ধূপগুড়ি। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছয় বছরের শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুটিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। তাঁদের আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই যুবক শিশুকন্যাকে হুমকিও দিয়েছে যে ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে কুয়োয় ছুড়ে ফেলে দেবে।
ভয়ে ওই শিশু কাউকে কিছু বলতে পারেনি। গত তিনদিন ধরে যন্ত্রণায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছে নির্যাতিতা শিশুটি। কী হয়েছে বারবার জিজ্ঞেস করায় অবশেষে দিদির কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে সে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
শিশুটির দিদির অভিযোগ, 'তিন-চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছে বোন। তার গায়ে প্রচন্ড যন্ত্রণা। চিকিৎসক বোনকে মারধর করার অনুমান করেছিলেন। আমরা ওকে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকি। তখনই ও সমস্ত কিছু খুলে বলে যে, ওকে খুব মারধর করা হয়েছে। এমনকী, ভয় দেখানো হয়েছে যে, কাউকে কিছু বললে হাত-পা বেঁধে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হবে।'
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী এক যুবক ওই ছয় বছরের শিশুকন্যাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বিগত তিনদিন ধরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে শিশুটি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হলে ওষুধপত্র দেন তিনি। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। শিশুটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অনুমান করেন স্থানীয় ওই চিকিৎসক।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, অবস্থা বেগতিক বুঝে থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।