ফের পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষিতা হলেন এক নাবালিকা। ধর্ষণের লাঞ্ছনায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ঘটনায় অভিযুক্ত পড়শি যুবক। অভিযোগ পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মুরারই থানার পুলিশ।
মৃত কিশোরীর বাড়ি মুরারইয়ের মুর্শিদপাড়া এলাকায়। স্থানীয় মহুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তিনি। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় গৃহশিক্ষকের ভরসাতেই চলছিল মেয়ের পঠনপাঠন। শনিবার রাতে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে ফিরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় মেয়ে। মৃত্যু আগে সে জানায়, গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফেরার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে।
মৃতের বাবা বলেন, ‘টিউশন থেকে ফিরেই নিজের ঘরে চলে গিয়েছিল মেয়ে। ভেবেছিলাম ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বুঝি। বেশ কিছুক্ষণ পরও ঘর থেকে না বেরোনয় তার ঘরে যাই। দেখি বিছানায় ছটফট করছে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হই। পথে মেয়ে জানায় রাস্তা থেকে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে উৎপল নামে এক প্রতিবেশী যুবক।’
হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কিশোরীর। এর পর উৎপলের বিরুদ্ধে মুরারই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাটে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ পেয়ে উৎপলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।