কিছুদিন আগেই ইউটিউব দেখে নিজেই বাচ্চা প্রসব করেছিলেন কেরলের এক কিশোরী। এবার বাংলায় বুকে আরও এক নাবালিকা মায়ের কথা। বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকা ভর্তি হয়েছিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। নাবালিকার বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে নানা ঝুঁকি থেকেই যায়। তবে চিকিৎসকদের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দেন ১৪ বছর বয়স ওই নাবালিকা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুস্থই ছিল মা ও সন্তান।এরপর তাদের ছুটিও দেওয়া হয়। কিন্তু সদ্যোজাত সন্তানকে আর বাড়ি নিয়ে যেতে ভরসা পাননি নাবালিকা মা। সমাজের নানা প্রশ্ন থেকে বাঁচতে, ও লোকলজ্জার আতঙ্কে সন্তানকে ফেলে রেখেই বাড়ি ফিরে যান নাবালিকা মা। কিন্তু কোথায় গেল দুধের শিশু? হাসপাতাল সূত্রে খবর, আয়ার হাতে সন্তানকে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন নাবালিকা মা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সুস্থ অবস্থাতেই মা ও বাচ্চাকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তবে যার হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে সেই আয়া হাসপাতালের কর্মী নন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরাও হাসপাতালে যান। তবে তাঁরা প্রাথমিকভাবে মা ও বাচ্চার খোঁজ পাননি। পরে ওই আয়ার খোঁজ পান তাঁরা। তাঁর কাছ থেকেই সদ্য়োজাতকে উদ্ধার করেছে চাইল্ড লাইন। বাচ্চাটিকে আপাতত নিরাপদ হোমে রাখা হয়েছে। এদিকে কীভাবে গর্ভবতী হয়েছিলেন ওই নাবালিকা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। নাবালিকার পরিবারের তরফেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পুলিশ এই ঘটনায় নির্মল মাজি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।