জন্মদিনের পার্টিতে ভয়ঙ্কর ঘটনা! হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার ৫ জন

জন্মদিনের পার্টি রয়েছে বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একটি বাড়িতে। সেখানেই এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি নদিয়ার রানাঘাটের হাঁসখালির। গত বৃহস্পতিবার হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ পেয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসখালির রাজনীতিতে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

নাবালিকার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বুধবার বগুলার একটি বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি রয়েছে বলে ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই পার্টিতেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়িতে সিসিটিভি রয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাশাপাশি ওই বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে কোনও মেসেজ বা ভিডিয়ো রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

শুক্রবার অভিযুক্তদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে দুজনকে পুলিশ হেফাজতে এবং বাকি তিনজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এ প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার আশিস মৌর্য জানান, ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দু'জনকে হেফাজত নিয়ে হয়েছে। প্রয়োজনে বাকিদের হেফাজতে নেওয়া হবে। আরও কেউ জড়িত রয়েছে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে তার মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। সেইসময় অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূল নেতার ছেলে এবং তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লপাটের জন্য দ্রুত নাবালিকার দেহ সরকারের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।