গত জুলাই মাস থেকে ছাত্র আন্দোলনের জেরে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এখনও বাংলাদেশে অশান্তি অব্যাহত রয়েছে। দেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছেন। সেরকমই সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ করেছিল এক নাবালিকা। তবে তার অনুপ্রবেশের কারণ বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি নয়, আসলে প্রেমিকের টানে সে চলে এসেছিল ভারতে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই তথ্য জানিয়েছে ওই কিশোরী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ মামলায় সাত সকালে ইডির অভিযান বাংলা-ঝাড়খণ্ডের ১৭ জায়গায়
জানা গিয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পঞ্চগড় থেকে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ঢুকে পড়েছিল নাবালিকা। গভীর রাতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে এপারে চলে এসেছিল সে। তবে বিএসএফের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। চোপড়া ব্লকের ফতেপুর বিওপিতে ওই নাবালিকাকে আটক করে বিএসএফ। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় চোপড়া থানার পুলিশের হাতে। এরপরে নাবালিকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হলে তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বোর্ড।
যদিও প্রথম থেকেই জানা যাচ্ছিল যে জলপাইগুড়িতে নাবালিকার এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। অশান্তির কারণে তাকে সেখানে পাঠাতে চাচ্ছিলেন তার বাবা-মা। সেই কারণেই ভারতে অনুপ্রবেশ। তবে এখন জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে অশান্তির কারণে নয়, আসলে প্রেমের টানেই ওই নাবালিকা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বছর খানেক আগে তার আলাপ হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেম। সেই থেকে ফোনে তাদের নিয়মিত কথা হতো। সেই প্রেমিকের টানেই ওই নাবালিকা ঘর ছেড়েছিল। তার ওপর এপারে এক আত্মীয় থাকায় মনে সাহস নিয়েই দেশত্যাগ করেছিল নাবালিকা। তবে এখানে আসতেই বিএসএফের হাতে আটক হয়ে যায় নাবালিকা।
এখন অবশ্য নাবালিকার মোহভঙ্গ হয়েছে। সে এখন চাইছে বাড়ি ফিরতে। এর জন্য সে কান্নাকাটি করছে। মেয়েটির জলপাইগুড়ির এক আত্মীয় জানান, বিএসএফের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু, নাবালিকাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। কারণ এটি অনুপ্রবেশের ঘটনা। এবিষয়ে কোচবিহারের শিশু সুরক্ষার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী যাতে মেয়েটি দ্রুত যাতে পরিবারের কাছে ফিরে যায় সেই ব্যবস্থা করা উচিত ।