এবার তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরে। বিজয়া দশমীর রাতে মারিশদা থানা এলাকার মশাগাঁর বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে কসবা অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি আনন্দ দাস অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দিলে মারধর করা হয় নাবালিকাকে। পরিবারের দাবি, বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছে আনন্দ।
নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, বিজয়া দশমীর রাতে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হানা দেয় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আনন্দ দাস। নাবালিকাকে ঘর থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। বাধা দিলে নাবালিকার বাবাকে মারধর করে আনন্দ ও তার পোষা গুন্ডারা। নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করত আনন্দ। ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মেয়ে। তাছাড়া ওর বিয়ের বয়সও হয়নি। এর পরই ওকে অপহরণ করে ওই তৃণমূল নেতা। এমনকী মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় বলে, ‘আমি তৃণমূল করি। পুলিশ আমার কিচ্ছু করতে পারবে না।’
ঘটনায় উঠে এসেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। নাবালিকার বাবার দাবি, মেয়ের অপহরণের কয়েকদিন পরে মারিশদা থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তার পরেও মেয়ের খোঁজে তৎপর হয়নি পুলিশ। পক্ষকাল কাটলেও মেয়ের কোনও খোঁজ পাননি তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকেও গ্রেফতার করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কন্যাশ্রী - রূপশ্রীতে ঢাকা তৃণমূলের বিশ্রী চেহারাটা বেরিয়ে এসেছে। শাসকদলের যুব নেতা নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার করে একজন নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গেল। পুলিশ ১৫ দিন ধরে চুপ করে বসে আছে। অরাজকতা আর কাকে বলে? এসব ওরা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকেই শেখে।
পালটা তৃণমূলের দাবি, ব্যক্তিগত বিষয়ে দলকে জড়ানো ঠিক নয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে দল আত্মসমর্পণ করতে বলেছে। প্রশ্ন হল, পুলিশ কি নেতার আত্মসমর্পণের অপেক্ষায় বসে আছে?