অসুস্থ মেয়েকে গ্রামেরই এক ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকেরা! তাঁদের কুসংস্কারের খেসারত গুনতে হল নাবালিকাকে। ঝাড়ফুঁকের অছিলায় ওই নাবালিকাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওঝার বিরুদ্ধে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ সদর মহকুমার উলোরা গ্রামে। অভিযুক্ত ওঝাকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তার সঙ্গে কথাও বলেছে পুলিশ। অবশ্য নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই ব্যক্তি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ওই ওঝার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ওঝার নাম সুদেব মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই নাবালিকা বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানোর সত্ত্বেও সম্পূর্ণ সুস্থ হচ্ছিল না সে। ফলে, পরিবারের বদ্ধমূল ধারণা হয় যে, মেয়ের শরীরে নাকি ভূতে ভর করেছে! তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বাবা-মা নাবালিকাকে ওই ওঝার কাছে নিয়ে যায়।
অভিযোগ উঠে, সুদেব ঝাড়ফুঁক করার অছিলায় ওই নাবালিকাকে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই ওঝার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, যাতে নাবালিকা বিষয়টি কাউকে কিছু না বলে, সেজন্য তাঁকে হুমকিও দেয়। কিন্তু বাড়িতে ফিরে নাবালিকা তাঁর মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। শুক্রবার রাতেই মেমারি থানায় ওই ওঝার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই সুদেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।