লজেন্স কিনতে গিয়ে প্রতিবেশী প্রৌঢ়ের লালসার শিকার নাবালিকা। ঘটনা সিউড়ির হাটজন বাজার এলাকার। অভিযুক্ত প্রদীপ কীর্তনিয়া পলাতক। তাঁর দাদাকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা বুধবার সকালে অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে তাঁর দোকানে ভাঙচুর চালায়।
স্থানীয়রা এক গৃহবধূ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় এক নাবালিকা প্রদীপের দোকানে গিয়েছিল। তখন দেখি, প্রদীপ তাকে পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে দোকানের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে আমার সন্দেহ হয়। বেশ কিছুক্ষণ পরেও নাবালিকা দোকান থেকে না বেরনোয় প্রদীপকে তার ব্যাপারে জানতে চাই। তখন প্রদীপ দাবি করে কোনও নাবালিকা তার দোকানে ঢোকেনি। এর পর আমি নিজে দোকানে ও তা দোকানের পিছনের ঘরে তল্লাশি করি। কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি। নাবালিকার খোঁজে আমি তার বাড়ি গিয়ে দেখি সে কাঁদছে। তখন তাকে চাপ দিলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। জানায় দোকানের পিছনের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে প্রদীপ কীর্তনিয়া।
এই খবর এলাকায় চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়ে প্রদীপ। এর পর নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযুক্ত দোকান মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। তবে অভিযুক্তের সন্ধান পায়নি তারা। এর পর অভিযুক্তের দাদাকে আটক করে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে তাঁর দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। দোকানের বাইরে ভাঙচুর চালান তারা। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।