৭০ বছর বয়সের দাদুর যৌন লালসার শিকার হল ১২ বছরের নাতনি। শুধু দাদুই নয়, দাদুর দুই বন্ধুর যৌন লালসা থেকেও বাদ যায়নি ওই নাবালিকা। টাকা নিয়ে দুই বন্ধু হাতে নাবালিকা নাতনিকে তুলে দিত দাদু। এইভাবে টানা কয়েক মাস ধরে দাদু এবং দাদুর বন্ধুদের লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকা। ঘটনাটি রাজস্থানের বুঁদির। নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের জানতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে ওই নাবালিকা। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এখন মা আর দাদুর সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকছিল নাবালিকা। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় তার দাদু তাকে কয়েক মাস ধরে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। শুধু দাদুই নয় তার দাদুর দুই বন্ধুও মদ্যপ অবস্থায় তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে নাতনিকে বন্ধুদের হাতে তুলে দিত দাদু।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু নাতনি নয়, এর আগে নিজের মেয়েকেও ধর্ষণ করতে ছাড়েনি ওই বৃদ্ধ। তবে সেই সময় এই অভিযোগ উঠলেও তাকে হাতেনাতে কখনও ধরতে পারেননি স্থানীয়রা। এদিন নাতনিকে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। বাসিন্দারা ওই বৃদ্ধের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ঘটনার পরেই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বৃদ্ধের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।