মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল নাবালিকা। কিন্তু সেখানেই তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হল। ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী যুবক দেখতে পায় ওই বাড়িতে একটি নতুন মেয়ে এসেছে। তখন তাকে টোপ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর নানান অছিলায় নাবালিকার গোপানাঙ্গে হাত দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী তথ্য উঠে আসছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম সাদ্দাম আলি মণ্ডল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আর নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। ধৃতকে পেশ করা হয় বারাসত আদালতে।
ঠিক কী ঘটেছে বারাসতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলে গরমের ছুটি পড়েছে। তাই ওই নাবালিকা মামাবাড়িতে ঘুরতে আসে৷ মামার বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকে যুবক সাদ্দাম আলি মণ্ডল। সাদ্দাম ওই নাবালিকাকে প্রলোভন দেখায় এবং নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী হওয়ায় নাবালিকাকে ফেলতে পাঠায় পরিবার। কিন্তু সাদ্দাম নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাবালিকার গোপনাঙ্গে হাত দেয়। এমনকী অন্তর্বাস পর্যন্ত জোর করে খুলে নেওয়া হয়। তারপর ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
কেমন করে বাঁচল নাবালিকা? পরিবার সূত্রে খবর, যৌন নির্যাতনের সময়ে নাবালিকার দিদিমা সেখানে চলে আসে। তাই ধর্ষণ করা সম্ভব হয়নি। তখন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সাদ্দাম। অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ খুঁজে বের করে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার। এই বিষয়ে নাবালিকার মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সাদ্দাম মেয়েকে ডেকে প্রলোভন দেখায়। তারপরই যৌম নির্যাতন করা হয়। আমরা চাই সাদ্দামের কড়া শাস্তি হোক।’