আরজি কর, জয়নগরের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এরই মাঝে এবার সামনে এল নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, কাটোয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, যৌন নিগ্রহের শিকার নাবালিকার বয়স মাত্র তিনবছর। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে নাকি তিনবছরের নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই প্রৌঢ়। এরপর সেখানে নাকি নাবালিকার যৌনাঙ্গে স্পর্শ করেছিল সেই প্রৌঢ়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক খুন পরিকল্পিত? মিলল সূত্র, তাহলে চার্জশিটে শুধু সঞ্জয়ের নাম কেন)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের 'কীর্তি' ফাঁস, CBI-এর হাতে 'মুছে ফেলা' প্রমাণ
আরও পড়ুন: কোথা থেকে এল কেরোসিন, কে আনল সেটা? কৃষ্ণনগরের ঘটনায় আরও ঘনীভূত রহস্য
ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকার মা দাবি করেন, শনিবার দুপুর নাগাদ বিস্কুট দেওয়ার নাম করে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী প্রৌঢ়। সেই সময় আরও এক শিশুকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সেই প্রৌঢ়। সেই সময় বাড়িতে প্রৌঢ় ছাড়া আর কেউ ছিল না। সেই সময়ই নাকি তিন বছরের সেই নাবালিকার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করেছিল প্রৌঢ়। এরপর বাড়ি ফিরে সেই নাবালিকা কাঁদতে শুরু করেন। তখন তার মা এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন তাকে। মাকে ঘটনাটির বিষয়ে বলে সেই নাবালিকা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। (আরও পড়ুন: ২ জুনিয়র ডাক্তারকে ৩০ বার ফোন করেছিলেন সন্দীপ, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়)
আরও পড়ুন: সাগরে 'ঘূর্ণাবর্তের মেলা', বাংলার দিকে কি ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'?
আরও পড়ুন: বেসিকের ১০০% পর্যন্ত অতিরিক্ত 'ভাতা' মিলবে এবার, নির্দেশিকা জারি সরকারের
রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। তাকে আটকে রাখা হয়। কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে সেখান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। রবিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। জেরার জন্যে প্রৌঢ়কে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে সেই নাবালিকা। কাটোয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুশান্তবরণ দত্ত জানান, সেই নাবালিকার যৌনাঙ্গে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। অবশ্য, এখন নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।