প্রতিবেশীর লালসার শিকার হল অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া! নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে মাসের পর মাস ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এমনকী, ঘটনার কথা যাতে কাউকে না-বলে ওই নাবালিকা, সেজন্য তার ছোট বোনকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মাসের পর মাস ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নির্যাতিতা কিশোরী।
শনিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরে। এদিন ওই পড়ুয়ার অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির লোকেরা তাকে চেপে ধরতেই মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে নির্যাতিতা ওই কিশোরী। নির্যাতিতা এও জানায়, তার ছোট বোনকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি। সেকারণে ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু জানাতে পারেনি সে।
নির্যাতিতা ওই কিশোরীর অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠরত মেয়ে রয়েছে। শিশুটিকে পড়ানোর জন্য তাকে বাড়িতে যেতে বলে অভিযুক্ত। সেখানে গেলে তাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তারপর তাকে হুমকিও দেয় যে, যদি এই কথা সে কাউকে বলে, তাহলে তার বোনকে খুন করে দেবে ওই ব্যক্তি। সেকারণে ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি ওই নির্যাতিতা। তার পর থেকে কখনও অঙ্ক করার নামে, তো কখনও আঁকা শেখানোর নামে ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে এনে মাসের পর মাস তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা ঘটায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে নির্যাতিতা ওই কিশোরী।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এদিন বিকেলে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে উত্তেজিত জনতা। তারপর তাকে বৈদ্যুতিন পোলের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বারুইপুর থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে তাঁরা। পরে নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতা ওই কিশোরীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকার বাসিন্দারা।