দিঘায় জগন্নাথ মন্দির ও সংলগ্ন প্রকল্প এলাকার কাজ কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে সদ্য দিঘা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যা নিয়ে পরে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। কোনও সরকার জনগণের টাকায় এভাবে কোনও ধর্মীয় স্থান নির্মাণ করতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে এবার দিঘাতেই মসজিদ নির্মাণের দাবি উঠতে শুরু করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে যদিও বলা হচ্ছে, এই দাবি নাকি বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। কিন্তু, এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল - শুভেন্দু অধিকারী সরকারি খরচে মন্দির বা যেকোনও ধর্মস্থান নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সূত্রের দাবি, 'বিজেপি প্রভাবিত' একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফেই নাকি দিঘায় একটি রাম মন্দির নির্মাণেরও দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়াও, খ্রিস্টানদের পক্ষ থেকে একটি গির্জা নির্মাণের দাবিও সামনে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, তাঁর সাম্প্রতিক দিঘা সফর সেরে বৃহস্পতিবারই ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, তার আগেই গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওল্ড দিঘা বিশ্ব বাংলা পার্কের কাছে জমায়েত করেন হাজার খানেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই নাকি রামনগর-১ ব্লকের দেউলিহাট এলাকার বাসিন্দা।
সূত্রের দাবি, জমায়েতে সামিল হওয়া এই সংখ্যালঘুদের তরফে প্রতিনিধিরা নাকি মসজিদ নির্মাণের জন্য জমির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, আগাম অনুমতি না থাকায় তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
সংবাদমাধ্যমে আরও যে খবর সামনে এসেছে, তা হল - নিউ দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের ২ কিলোমিটারের মধ্যেই চড়ুইভাতি কমপ্লেক্সের কাছে সৈকতের গা ঘেঁষে মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
একটি সংখ্যালঘু সংগঠনের এক জেলা নেতার দাবি, সেই ২০১২ সাল থেকেই দিঘায় মসজিদ তৈরির বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে আবেদনও করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, পরে সেটা আর এগোয়নি। সূত্রের দাবি, নির্দিষ্ট করে এই বিষয়টি নিয়েই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত আরও দাবি করা হচ্ছে, আগেই নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছিল। এবং এই প্রকল্পের জন্য দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ২ একর ১১ ডেসিমেল জমি দিতেও রাজি বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের তরফে এই খবরের সত্যতায় কোনও সিলমোহর দেওয়া হয়নি।