প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে প্রকাশ্যে এল আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৪-র টেটে একাধিক নাবালককে বসার সুযোগ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অকৃতকার্য হয়েও চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ স্কুলে পড়তে পড়তেই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তাঁরা।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক নাবালক পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে দাবি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলাকারীদের আইজীবীর। নথি বলছে ওই পরীক্ষায় এমন অনেকে বসেছিলেন যাদের বয়স ১৮ বছরের অনেক কম। ২০১৪ সালের টেট দিয়েছিলেন সজল হালদার। ওই বছর ১ জানুয়ারি তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। পরীক্ষায় ফেল করেন তিনি। তার পরও ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় নিয়োগপত্র (মেমো নম্বর ২১৮১/APPTT)।
একই ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শেখ ফারুক। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ৭ মাস। টেট পাশ না করেই ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র পান তিনি (মেমো নম্বর ২৩৩৫/APPTT)।
ওই বছর প্রাথমিক টেটে বসেছিলেন সুস্মিতা সাহা। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ১১ মাস। ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র পান তিনি (মেমো নম্বর ২০৩৩/APPTT)
আবার ঘটেছে এর উলটো ঘটনাও। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সুকুমার সরকার নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দিয়েছে সংসদ। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর বয়স ছিল ৪৭ বছর ৬ মাস।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে মোট ৩৮ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা পৌঁছেছে। তবে এই তালিকা আদালতের নির্দেশে তৈরি নয়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিজেই এই তালিকা তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠিয়েছে। এদের কেউই পাশ মার্ক পাননি। অথচ গত ৫ বছর ধরে শিক্ষকের চাকরি করছিলেন তাঁরা।