মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং হস্টেল। তার ছাদ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে আবাসিকদের অন্তর্বাস সহ নানা ধরণের জামাকাপড়। মূলত দুষ্কৃতীরাই ছাদে ও উঠোনে শুকোতে দেওয়া জামাকাপড় নিয়ে চম্পট দিচ্ছে বলে অভিযোগ। হস্টেল লক্ষ্য করে টুপটাপ ঢিলও পড়ছে দিনে দুপুরে। এমনকী পাঁচিল টপকে ভেতরে উঁকি দেওয়ারও চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। ভর দুপুরবেলা ছাত্রীদের ঘরের জানালায় টোকাও দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ এমনটাই। এনিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসিক ছাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের একাংশের দাবি বার বার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। এমনকী দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের জেরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে শৌচাগারে যেতেও ভয় পাচ্ছেন ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে বড়সর প্রশ্ন। তবে যে কোনও সময় বড় কোনও ঘটনাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, হোস্টেল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। সিসি ক্যামেরা লাগনোর ব্যাপারেও আবেদন জানিয়েছিলেন হস্টেলের আবাসিক ছাত্রীরা। তবে ঘটনার কথা কানে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নেন শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী।
প্রসঙ্গত এই মেখলিগঞ্জ হাসপাতালেরই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ভোটের আগে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে তিনি অভিযোগের কথা শুনেই হাসপাতালের সুপারকে নিয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন ওই হস্টেলে। হস্টেলের আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। এরপরই কার্যত কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ওখানে দুষ্কৃতীদের কিছু উপদ্রব রয়েছে বলে শুনেছি। ছাত্রীদের জামাকাপড় শুকোতে দেওয়ার পরে সেগুলি বলছে পাওয়া যাচ্ছে না। অবিলম্বে ওখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বলেছি। পাঁচিলটাকেও আরও উঁচু করা দরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে। আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তায় যাতে কোথাও কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেটা দেখার জন্য় বলেছি।