পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতী দলের রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলল হুগলিতে। পিছু ধাওয়া করতেই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের গাড়ি। তবে শেষ পর্যন্ত দুজন দুষ্কৃতিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটল হুগলির ত্রিবেণীর কালীতলায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ, মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত ৭ পুলিশকর্মী, ঝরল রক্ত
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ। পুলিশের কাছে খবর আসে যে ডাকাতি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইক চড়ে পালাচ্ছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই মগরা থানার পুলিশ পালপাড়ার কাছে নাকা তল্লাশি শুরু করে দেয়। এরপর দুটি বাইক আটকায় পুলিশ। বাইকে কোনও নম্বর প্লেট না থাকায় তাদের উপর পুলিশের সন্দেহ হয়। মোট চার জন দুষ্কৃতী ছিল দুটি বাইকে। তখন পুলিশের বাধা পেতেই বাইকের গতি বাড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এদিকে, দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতে দেখে পুলিশও সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করে। এভাবেই দুষ্কৃতীদের পিছনে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ছুটতে থাকে পুলিশের গাড়ি। পরে বিটিপিএস টাউনশিপ গেটের কাছে যেতেই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর তিনটি বোমা ছুড়ে মারে দুষ্কৃতীরা। তারপরেও দুষ্কৃতীদের ধরতে পিছু ধাওয়া চালিয়ে যেতে থাকে পুলিশ। এরপর কালীতলা ব্রিজের দিকে পুলিশ দুষ্কৃতীদের আটকালে ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাগ ভর্তি বোমা ছুড়ে মারে। এভাবেই দীর্ঘক্ষণ ধরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের টক্কর চলার পর অবশেষে দুজন গ্রেফতার হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু'টি মোটরবাইক ও আগ্নেয়াস্ত্র। আরও দু'জন দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
বোমাবাজির ঘটনায় দুজন পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার পাশাপাশি গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছন হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। এছাড়াও, পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার। র্যাফও সেখানে পৌঁছয়।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, দুষ্কৃতীরা পালাচ্ছিল বাইকে করে পালাচ্ছিল। তাদের পিছু ধাওয়া করতেই বোমাবাজি করে। তবে পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে পিছু ধাওয়া করে তাদের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থল থেকেই ধরে ফেলে। পরে আরও একজনকে ধরে ফেলে। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।