ভোটের পর তিন মাস বাড়ি ছাড়া ছিলেন বিজেপি কর্মী। বাড়ি ফিরতেই সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই কর্মীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের জরিমানা চাওয়া হয়। তা দিতে অস্বীকার করায় এবার ওই কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দেওয়া হয়। ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথাও। এমনই অভিযোগ উঠল
আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভরতি করানো হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। অবশ্য তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরের মনতলা গ্রামে। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকা।
আহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী সাইমা বিবি বলেন, ‘ভোটের পর থেকে বাড়ি ছাড়া ছিলেন স্বামী। ওদিন তৃণমূলের লোকেরা বাড়িতে এসেছিল। তারাই আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড মারধর করেছে। তাঁর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। কোমর ভেঙেছে কিনা জানি না।’
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘সইদুল প্রায় তিনমাস বাড়ির বাইরে ছিল। তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। তারপর তাঁকে ডেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে সইদুলের। শাসক শিবিরের এই অহঙ্কারই একদিন পতনের কারণ হবে।’
এর পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের পর এতদিন ঘরছাড়া ছিলেন বিজেপি কর্মী সইদুল রহমান।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনতলা গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তিনি। একইদিনে ওই গ্রামে পরিদর্শনে আসেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তার ২৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় তৃণমূলের সালিশি সভায় ডাকা হয় সইদুলকে। তিনি সেখানে উপস্থিত হলে, তার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এত টাকা দিতে না পারায়, বেধড়ক মারধর করা হয় সইদুলকে। মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়।