বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে দিনহাটায় সীমান্তবর্তী গ্রামে ফসল লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই পাম্প সেটও লুঠ করছে তারা। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্য়ের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
তিনি এনিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন।
উদয়ন গুহ লিখেছেন,
'আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী দুটো রাষ্ট্রের সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া বা ফেন্সিং দিতে হলে দুটো রাষ্ট্রই সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে নিজ এলাকায় বেড়া দেবে।
৯০ এর দশকের গোড়ায় ভারত বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকার বাংলাদেশ সীমান্তে কাটা তারের বেড়ার কাজ শুরু করে এবং সেটা জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ নিজের দেশের ভিতরে।
অথচ বাংলাদেশ আর্থিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে নিজেদের সীমানায় বেড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ফলে হাজার হাজার ভারতীয়র জীবনের নিরাপত্তা, জমি জায়গা সব বাংলাদেশীদের কাছে উন্মুক্ত হয়ে যায়।
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বসবাসকারী ভারতীয়রা হয়ে যান ‘ নিজভূমে পরবাসী ’।
অথচ বাংলাদেশ যখন নিজেদের সীমানায় বেড়া দিল না তখন যদি ভারত সরকার ১৫০ গজ ভিতরে বেড়া না দিয়ে, সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বেড়া দিত তাহলে কাঁটা তারের বেড়ার গেটও লাগতো না পাচারও হতো না, সীমান্তের ভারতীয়দের এই নরক যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো না।
আজকে আমার এই পোস্টের কারন গত দুদিন ধরে দিনহাটা-২ ব্লকের নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে বাংলাদেশের সমাজবিরোধীরা এসে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয়দের জমির ফসল, পাম্পসেট নির্বিচারে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
অজ্ঞাত কারণে BSF কেও সেইভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে এই অসহায় মানুষ গুলির সহায় সম্পত্তি রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।' লিখেছেন উদয়ন গুহ।
এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। মন্ত্রীর এই পোস্টের পরেই এনিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলের তরফে। এমনকী ব্লক ও মহকুমার প্রশাসনের কর্তারাও গ্রামীণস্তরে খোঁজ নিচ্ছেন।
সীমান্তের কাঁটাতার টপকে কীভাবে বাংলাদেশি সমাজবিরোধীরা কোচবিহারের সীমান্ত বর্তী গ্রামে গিয়ে লুঠপাট চালাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানেই দুটি প্রশ্ন, সীমান্তবর্তী গ্রামে বাংলাদেশি সমাজবিরোধীদের লুঠপাট যথেষ্ট উদ্বেগের। কবে স্বস্তি পাবেন সীমান্তের বাসিন্দারা? এদিকে দিনহাটা সীমান্তের কিছু পয়েন্টে পাচারের অভিযোগ ছিল আগেই। গরু চুরির ঘটনা মাঝেমধ্য়েই হত। তবে বর্তমানে সেই অভিযোগ আগের থেকে কিছুটা কমেছে।