মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে খুন করে সর্বস্ব লুট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার বুনিয়াদপুরে। জানা গিয়েছে, বুনিয়াদপুর পুর এলাকার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ড ধুমসাদিঘি এলাকায় বাড়ি ওই ব্যবসায়ীর। ঘুমানোর সময় রবিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং হাত পা বেঁধে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে টাকা গহনা যা সামনে পেয়েছে লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ব্যবসায়ীর নাম মিঠুন চক্রবর্তী, বয়স আনুমানিক ৩৭ বছর।
আরও পড়ুন: সন্তানকে খুন করে শেষরক্ষা হল না, শ্মশানকর্মীর তৎপরতায় গ্রেফতার মহিলা ও প্রেমিক
কী ঘটেছিল?
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী স্নেহা মৈত্র চক্রবর্তী এবং একমাত্র সন্তানকে।নিয়ে হিলিতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। ফলে বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধা পুতুল চক্রবর্তী এবং মিঠুন। ঘটনার সময় তারা ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ঘরের ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায়। এদিকে, বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় মিঠুনের মায়ের। তারপর মিঠুনের ঘরে ঢুকতেই দেখেন হাত পা বাঁধা অবস্থায় এবং মুখে সেলোটেপ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ছেলে। তখন মিঠুনের মায়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বংশীহারী গ্রামীণ হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মিঠুন চক্রবর্তীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বংশীহারী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক। এর পাশাপাশি আসেন অ্যাডিশনাল এস পি ইন্দ্রজিৎ সরকার। জানা যায় মৃত ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সুদের কারবার চালাতেন। স্থানীয়দের অনুমান, অর্থনৈতিক লেনদেনের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রকার মন্তব্য করেননি তদন্তকারী অফিসার। দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা পুলিশ আধিকারিক। আনা হয় স্নিফার কুকুর।
এই বিষয়ে বুনিয়াদপুরের কাউন্সিলর কমল সরকার বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি এসেছি। পুলিশ প্রশাসন নির্দিষ্ট নিয়মে খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এটা আশা করছি।’
মৃতের মা পুতুল চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ। কী কারণে মিঠুনকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।