পুজোর সময় চলন্ত ট্রেনে চলল একের পর এক লুঠপাট। শিয়ালদা পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে লুঠ হয়ে গেল যাত্রীদের সর্বস্ব। রেল অ্যাটেনডেন্ট ও প্যান্ট্রি কার কর্মী সেজে চলন্ত ট্রেনে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ট্রেনটি খড়গপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর। পুজোয় যাত্রীদের অধিকাংশই পুরী ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। আর তার আগেই সর্বস্ব খুইয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। এই ঘটনায় যাত্রীরা রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গিয়েছে, ট্রেনের এ ১, বি১, বি৩ এবং বি৪ কোচে রেলের কর্মী সেজে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। বারাসাতের ব্যবসায়ী শুভজিৎ আচার্যের অভিযোগ, পুজোয় পুরী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গতকাল সপরিবারে শিয়ালদা থেকে পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস উঠেছিলেন। তিনি এ১ কোচে ছিলেন ঘটনাটি ঘটে খড়গপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ১ ঘণ্টা পর। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, রাত্রি ২ টো নাগাদ কোচের প্রায় সব যাত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। ফলে কোচটি অন্ধকার ছিল। সেই সময় ট্রেনটি ধীর গতিতে চলতে শুরু করে। আশেপাশেও তখন অন্ধকার ছিল। তখন তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন ট্রেনের কয়েকজন কর্মী তার ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। ঘটনায় তার স্ত্রী চিৎকার চেঁচামেচি করেন। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন থেকে লাফ মেরে পালিয়ে যায় তারা। এর পরে ট্রেনের বি১, বি৩ এবং বি৪ কোচের যাত্রীরাও চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।
শুভজিৎ বাবুর স্ত্রী অভিযোগ যারা ব্যাগ চুরি করে যারা পালাচ্ছিল তাদের পরনে ছিল প্যান্ট্রি কর্মীর পোশাক। পরে ট্রেনটি ভুবেনশ্বর স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে জিআরপির কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু, সেখানে জিআরপি অভিযোগ নিতে চাইনি বলে অভিযোগ। জিআরপির তরফে যাত্রীদের জানানো হয় পুরী স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন ট্রেনে কোনও আরপিএফ ছিল না। এমনকি ট্রেনের অন্যান্য যারা প্যান্ট্রি কর্মী ছিলেন তারাও দূর থেকেই ঘটনাটি দেখেছেন। এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।