বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ কোথায়? তিনি কী নিখোঁজ? এই প্রশ্নে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ তেমনই অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। এমনকী দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নামে নিখোঁজের অভিযোগে একটি মিসিং ডায়েরি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। আর তা নিয়েই শোরগোল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় দেখা নেই বিজেপি সাংসদের। পরিস্থিতি দেখে ওই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মমতাজ সংঘমিত্রা চৌধুরী দলের কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁরা যেন থানায় গিয়ে সাংসদ নিখোঁজের বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করেন। সেই কাজটিই এদিন সারলেন তৃণমূল কর্মীরা। থানাও মিসিং ডায়েরি নিয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর একটু চাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখান থেকে সাংসদকে জয়ী করা হয়েছিল। ভোটারদের কাছে বার্তা এই সাংসদকে এলাকায় পাওয়া যায় না। তাহলে এমন দলকে ভোট দিয়ে লাভ কী! তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একের পর এক কারখানা ধুঁকছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে। অথচ কোনও খোঁজই নেই সাংসদের। এলাকায় শেষ কবে তাঁর দেখা মিলেছে, কেউ বলতে পারছেন না। আমরা তাই বাধ্য হয়ে পুলিশকে তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানালাম।’
যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পালটা অভিযোগ, মানুষের জন্যে কোনও কাজ করেননি বলেই লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ অনেক কাজ করছেন। কিন্তু সেগুলি না দেখে অপপ্রচার করছে রাজ্যের শাসকদল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়ায় ভেঙে পড়ে বর্ধমান রেল স্টেশন ভবনের সামনের একটি অংশ। সেই দুর্ঘটনায় একজন মারাও যান। তখন ইতিবাচক ভূমিকা নিতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলকে। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ–সহ বর্ধমান শহরের প্রথমসারির তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। রাতও জাগেন। পুলিশ–প্রশাসনও রেলকে সাহায্য করে। কিন্তু দেখা মেলেনি কেবল সাংসদের। বস্তুত ওই দুর্ঘটনার পর আলুওয়ালিয়াকে দেখা যায়নি বর্ধমান শহরে।