বিধায়ক রত্না দে নাগ কি নিখোঁজ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা হুগলি জেলায়। কারণ, ‘সন্ধান চাই বিধায়কের’ বলে পোস্টার পড়েছে হুগলির পান্ডুয়ায়। আর এই পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘সমাজ কল্যাণ সমিতি’। অর্থাৎ তাঁরা বিধায়ককে খুঁজে পাননি। যদিও বিধায়কের দাবি, বিরোধী দলই এই ধরনের পোস্টার রাতের অন্ধকারে সাঁটিয়েছে। পান্ডুয়ার বোনেপাড়া এলাকায় এই পোস্টার দেখা গিয়েছে।
সত্যিই কী বিধায়ক নিখোঁজ? এই পোস্টার পড়লেও এলাকায় বেশ জনপ্রিয় রত্না দে নাগ তা এলাকায় পা রাখলেই শোনা যায়। সেখানে এই পোস্টার পড়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু শুক্রবারই বিধায়ক রত্না দে নাগকে দেখা যায় এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে কর্মিসভায় যোগ দিতে। সেখানে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের পাশেই ছিলেন বিধায়ক রত্না দে নাগ। সুতরাং এই পোস্টার তাঁকে বিব্রত করতেই লাগানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পোস্টার নিয়ে কী বলছেন জেলা সভাপতি? এই পোস্টার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘এই তো বিধায়ক আমার পাশে বসে আছেন। উনি সপ্তাহে প্রত্যেকদিন এখানে আসেন। মানুষ তাঁকে কাছে পান। এটা ওঁর পার্টি অফিস। কারা এই সমাজ কল্যাণ সমিতি? তারা সমাজের কি কল্যাণ করেছে? জানি না।’
ঠিক কী বলছেন বিধায়ক? এই পোস্টার নিয়ে বিধায়ককে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই প্রসঙ্গে রত্না দে নাগ বলেন, ‘৪০ বছর এখানে বামেদের বিধায়ক ছিলেন। ৪০ বছর পর পান্ডুয়ার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। তাহলে কি এমনি জিতিয়েছে? কারা পোস্টার মেরেছে সেটা বলতে পারব না।’ সূত্রের খবর, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পান্ডুয়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা আছে। তাই এমন পোস্টার মেরে হাওয়া গরম করা হয়েছে।