মিয়াজাকি আম। সোশ্য়াল মিডিয়ার দৌলতে এই নামটার সঙ্গে ইদানিং কম বেশি অনেকেই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এটা জাপানের একটি প্রজাতি। দাম শুনলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। এই আম নাকি অনলাইনে ২ লাখ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়। আর সেই আমই এবার বীরভূমের মসজিদ চত্বরে ফলেছে। আর সেই আম খাওয়া তো দূরের কথা, আমের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য় এখন একেবারে লাইন পড়ে যাচ্ছে।
দুবরাজপুরের ওই মসজিদ চত্বরে একটা গাছে এই মিয়াজাকি আম ফলেছে। আর সেই আম দেখতে লোকজনের ভিড় লেগে গিয়েছে। আপাতত ঠিক করা হয়েছে শুক্রবার একটা আম পাড়া হবে। তারপর সেই আম নিলাম করা হবে। এখন সেই আমের দাম কেমন ওঠে সেটাই এখন দেখার। কিন্তু জাপানের এই আম কীভাবে বীরভূমে এল?
সৈয়দ সোনা নামে স্থানীয় এক যুবক বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আমের চারা এনে মসজিদ চত্বরে লাগিয়েছিলেন। সেই থেকেই রয়েছে গাছটি। এবার গাছে সব মিলিয়ে ৮টা আম হয়েছে। সেই আম গুলিকে একেবারে আগলে রেখেছে স্থানীয়রা, মসজিদ কমিটির লোকজন। আড়াই লাখি আম বলে কথা!
তবে মালদায় পরীক্ষামূলকভাবে এই আম ফলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জাপানি আম। লম্বাটে ধরনের দেখতে হয়। ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। বেগুনি রঙের দেখতে এই আম। এই আম থাইল্যান্ড, বাংলাদেশের কিছু জায়গায় চাষ হচ্ছে। ভারতে মধ্যপ্রদেশে এই আমের প্রথম চাষ হয়েছিল। তবে সেই আম গাছের একেবারে কড়া পাহারা দেওয়া হত।
নাম 'মিয়াজাকি' (Miyazaki)। বিশ্বের বাজারে কদরই আলাদা। এই মিয়াজাকি আমকে একেবারে কড়া পাহারায় চাষ করার নজির রয়েছে।। আর এর দাম শুনলেও আঁতকে উঠতে হয়।
কত দাম এই আমের?
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। জাপানে একটি মিয়াজাকি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।
কেমন খেতে?
অসাধারণ সুগন্ধ ও চিনির চেয়েও মিষ্টি এই মিয়াজাকি আম। সেই সঙ্গে আঁশ বা ফাইবার একেবারে নেই বললেই চলে। মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। তবে এবার সেই আমই খেয়ে দেখার সুযোগ হবে বীরভূমে। একেবারে গাছ পাকা মিয়াজাকি।