তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেও যেন পুরোপুরি ছাড়তে পারছিলেন না তিনি। একদা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করলেও অধুনা গেরুয়া শিবিরেরই শরিক কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। বাংলাকে বিজেপিই বাঁচাতে পারে দাবি করে দলবদল করেছেন তিনি। অথচ তাঁর ভেরিফায়েড টুইটারের কভার (এখন অ্যাকাউন্টটি নেই) বলছিল অন্য কথা। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখালেও তাঁর তৃণমূল ‘প্রীতি’ কমছিল না বলেই মনে করছেন অনেকে। যার জেরে বনশ্রীকে বিদ্ধ হতে হচ্ছিল সমালোচনায়।
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। গত ডিসেম্বর মাসে দল ছাড়েন তিনি। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। দলবদলের পর নানাভাবে শাসক দলকে আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টের কভারে ছিল ‘নিজেকে বিজেপি’-র থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন’ ছবিটি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম কটাক্ষের শিকার বনশ্রী। হাসির খোরাকও হতে হচ্ছিল বিধায়ককে।
ঠিক কী ঘটেছিল? বনশ্রীর সাফাই, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি তিনি হ্যান্ডেল করেন না। যে করতেন তাঁকে নাকি অ্যাকাউন্টটি বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিলেন অধুনা বিজেপি নেত্রী। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়ে ওঠেনি (এখন যদিও অ্যাকাউন্টটি দেখাচ্ছে না)। আর সেইন্যই হাসির খোরাক হতে হচ্ছে বিধায়ককে। শুধু কভার নয়, তাঁর টুইটারের প্রতি পোস্টে এখনও নজরে পড়ছিল তৃণমূলের জয়গান। দলবদলের কয়েকদিন আগেও তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল বনশ্রী মাইতিকে। তবে টুইটার অ্যাকাউন্টটি শেষ ব্যবহার করা হয়েছিল গত ১৫ ডিসেম্বর।