বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিনি। এক চিলতে টালির ঘর থেকে একেবারে বিধানসভায়। স্বামী শ্রাবণ বাউরি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। একটা সময় চন্দনা বাউরিও স্বামীকে সহায়তা করতে জোগাড়ে হিসাবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি বিধায়ক। তবে বিধায়ক হওয়ার পরেও ভুলে যাননি তাঁর সহযোদ্ধাদের। বৃহস্পতিবার গঙ্গাজলঘাটির বিশিন্ডা গ্রামে এক প্রবীন বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তাঁকে। বিজেপি নেতা কর্ণ বাউরিকে ধুতি, মিষ্টি, গলায় উত্তরীয় পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি বিধায়ক। প্রায় ৮০র দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া কর্ণ বাউরিও একটা সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ১৯৯১সালে গঙ্গাজলঘাঁটি বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি জিততে পারেননি।
দলের একাংশের মতে, সেই সময় এলাকায় বিজেপির পতাকা ধরার জন্য কাউকে বিশেষ পাওয়া যেত না। বিরোধী দলকে কোণঠাসা করতে নানা পথ নিতেন বাম কর্মীরা। সেই সংকটের দিনেও এলাকায় সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করতেন কর্ণ বাউরি। সেই প্রবীণ সহযোদ্ধাকে এদিন কুর্ণিশ জানালেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। বিধায়ককে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেন কর্ণ বাউরি। কার্যত আবেগে ভাসলেন দুপক্ষই। বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, ‘তিনি আমাদের দলের একজন প্রবীণ নেতা। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরেও দেখা করতে গিয়েছিলাম। বিধায়ক হওয়ার পরেও দেখা করতে গিয়েছিলাম। ’