দলবদল করে অন্যত্র গিয়ে লাভের মুখ দেখাটাই যেন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। সিপিএম ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন দীপালি বিশ্বাস। এখন শুভেন্দু দল ছেড়ে দিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাই শুভেন্দুর অনুগামী হিসাবে মালদহের গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এই জল্পনার অবসান ঘটাতে আসরে নেমেছে দল এবং ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যেরা। নিয়মিত দীপালির গতিবিধির উপরে নজর রাখছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছিল বাম–কংগ্রেস জোট। তৃণমূলকে সেখানে খালি হাতে ফিরতে হয়। সেখানে বিরোধী বিধায়ক শিবিরে ভাঙন ধরাতে তৎপর হন তৎকালীন জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরে সিপিএম ছেড়ে কলকাতায় ২১ জুলাই মঞ্চে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গাজলের বিধায়ক দীপালি। তিনিই প্রথম জেলায় দলবদলের তালিকায় নাম লেখান। এখন শুভেন্দুই তৃণমূল ও তাঁর সব পদ ত্যাগ করে দিয়েছেন। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে শুভেন্দু অনুগামী হিসাবে দিপালিও গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে পারেন।
যদিও দীপালির দাবি, তিনি তৃণমূলেই আছেন। আর দীপালির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, দলবদলের সময় রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গাজল পুরসভা, মহিলা কলেজ, দমকল কেন্দ্র, বাসস্ট্যান্ড এবং গাজল–কলকাতা বাস পরিষেবার চালুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন দীপালি।
তবে দলবদলের জল্পনা শুরু হতেই দীপালি ও তাঁর স্বামী রঞ্জিতকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। মালদহের কো–অর্ডিনেটর তৃণমূলের দুলাল সরকার অবশ্য বলেন, ‘কানে এসেছে ওঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসেছিলেন। তাতে দলের কোনও লাভ হয়নি। এখন দল ছাড়লেও জেলায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’