রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশের পর এবার সাময়িকভাবে ফেসবুক ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। শনিবার ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট করে সেকথা জানান তিনি। তবে কেন তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা আলাদা করে সংবাদমাধ্যমকে জানাননি মনোরঞ্জনবাবু।
এদিন ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে কিছু দিনের জন্য ফেসবুক থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। বন্ধ করে দিতে হচ্ছে টিভির সাক্ষাৎকার। কারন কিছু মানুষ খুব ধূর্ত আর কৌশলি হয়ে উঠেছে।যাদের হৃদয়বৃত্তি মরে গেছে। তারা মানবিক আর্তির ধার ধারেন না।সহজ সরল ভাষা ভাবনাকে বাঁকিয়ে দুমড়ে মুচড়ে একটা অন্য রূপ দিয়ে মা মাটি মানুষের জনপ্রিয় সরকারকে বদনাম করতে চায় বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে বিশেষ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়।’
তাঁর দাবি, ‘যারা এই বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে আসা মা মাটি মানুষের দল তৃনমূল দলটাকে যেমন সহ্য করতে পারছে না, আমাকেও সহ্য করতে চাইছে না ছত্রিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল থেকে নয় হাজার ভোটে আমার জিতে যাওয়া।’
এমনকী দিন কয়েক আগে তাঁর যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল তারও উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন নিশ্চয় আমার মুখে আটকে যাওয়া একটা শব্দ ‘অমানবিকতা’ নিয়ে কী ব্যাঙ্গ বিদ্রুপের ঝড় তুলেছিল। আবার তেমন একটা ঝড় তোলার চেষ্টা চলছে আমার একটা মানবিক আর্তি মাখানো ফেসবুক পোস্ট নিয়ে। ওরা থামবে না।’
গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে নিজের রাজনীতিতে আসা ঠিক হয়নি বলে সংশয় প্রকাশ করেন মনোরঞ্জনবাবু। লেখেন, ‘মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে – সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারি করতে বাধ্য হই’।
মনোরঞ্জনবাবু ঠিক কাদের ইঙ্গিত করতে চাইছেন তা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিত দলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকেই। কারণ বিরোধীরা তো তাঁর জয়ে খুশি হবে না সেটাই প্রত্যাশিত। তাহলে কি তৃণমূলেরই একাংশ পিছনে লেগেছে তাঁর?