লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এক মহিলা। হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই মহিলাকে টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের লাউডোহার।
লাউডোহা পঞ্চায়েতের কেবিটি উচ্চ বিদ্যালয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে লাইন দিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন রূপালি ঘটক নামে এক মহিলা। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তখনই সেখানে হাজির হয়ে যান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পুরো ঘটনাটি শুনে তড়িঘড়ি একটি মহিলাকে টোটোতে চাপান ও হাসপাতালে নিয়ে যান। রাস্তায় যেতে যেতেই হাসপাতালে অক্সিজেন রেডি রাখতে বলেন তিনি। নরেন্দ্রনাথ জানান, ‘এরা সবাই আমার আত্মীয়। এদের জন্য এটুকু তো করবই।’ হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, রূপালির চিকিৎসা চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সময়মতো চিকিৎসা হওয়ার জন্য বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জানান, 'জনগণের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের পাশে থাকাই তাঁর কাজ। এলাকায় প্রত্যেকেই তাঁর নিজের আত্মীয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে লাইনে দাঁড়িয়ে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকদের তত্বাবধানে আছেন তিনি।'