বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Didir doot : অন্য ছবি: পড়া বন্ধ হতে বসা ডাক্তারি পড়ুয়ার দায়িত্ব নিলেন মালদহে ‘দিদির দূত’

Didir doot : অন্য ছবি: পড়া বন্ধ হতে বসা ডাক্তারি পড়ুয়ার দায়িত্ব নিলেন মালদহে ‘দিদির দূত’

মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। (ফেসবুক)

এলাকায় মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত পায়েল মেডিক্যালের নিট পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক করেন। তিনি উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তিনি সেই সুযোগ ছেড়ে দিয়ে আবারও পরীক্ষা দেন।

রাজ্য জুড়ে যখন বিভিন্ন জেলায় 'দিদির সুরক্ষা কবচ' নিয়ে যেতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে 'দিদির দূত' বিধায়কদের তখন উল্টো ছবি দেখা গেল মালদহে। অর্থের অভাবে ডাক্তারি পড়া বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল এক পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ের। 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিকে গিয়ে এ খবর জানতে পারেন মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। তৎক্ষনাৎ মালদহের রতুয়ার ২ ব্লকের মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা পায়েল রহমানের সঙ্গে যোগযোগ করেন। বিধায়ক তাঁর ডাক্তারি পড়ার খরচের দায়িত্ব নেন তিনি।

এলাকায় মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত পায়েল মেডিক্যালের নিট পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক করেন। তিনি উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তিনি সেই সুযোগ ছেড়ে দিয়ে আবারও পরীক্ষা দেন। এবার তিনি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়াতর সুযোগ পান। বর্তমানে ওই কলেজের তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁর পড়াশুনো বন্ধ হতে বসেছিল।

সম্প্রতি 'দিদির দূত' হিসাবে মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যান এবং সেখানেই জানতে পারেন পায়েলের কথা। তাঁর পড়াশুনার দায়িত্ব নিজেই নেন বিধায়ক। বিধায়ক ভাতা থেকে তাঁকে অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দেন। মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে তাঁকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি পায়েলের হাতে একটি ল্যাপটপও তুলে দেন তিনি।

এই সাহায্য পেয়ে খুশি পায়েলও। তাঁর কথায়,'বিধায়ক যে আমাকে এতটা সাহায্য করবেন আমি ভাবতেও পারিনি। এই সাহায্য পেলে অনেক উপকার হবে। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাব।'

বন্ধ করুন