কয়লা পাচার মামলার তদন্তে সিবিআই তলব করেছে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। শেষ দফায় ভোট রয়েছে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, এবং জয়নগরের মতো কেন্দ্রগুলিতে। তার ঠিক আগে সিবিআই দফতরে তলব করা হল বিধায়ককে। তবে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল শওকতের কাছে, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণ দেখিয়ে তিনি সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দেননি।
সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শওকতের নাম উঠে এসেছে। আগেও সিবিআই তাঁকে তলব করেছে এবং তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। তখন তাঁকে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তাঁর ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি, ব্যবসা বা সংস্থার সংশ্লিষ্ট নথিও জমা দিতে বলা হয়েছিল। তবে, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া মাংস ও চুল সাংসদের? ডিএনএ টেস্টে কলকাতায় আসছেন মেয়ে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীন ও লাগোয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের ভরসা এখন শওকতই। জেলবন্দি শেখ শাহজাহানের অনুপস্থিতিতে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকতের ওপর গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছে। সব কেন্দ্রে প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি, তাই নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে সিবিআইয়ের তলব উপেক্ষা করেছেন।
আরও পড়ুন। জামাইষষ্ঠীতে কি জামাইয়ের পাতে থাকবে হিমসাগর? শঙ্কার কথা শোনালেন আমচাষিরা
এদিকে, বুধবার বারুইপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই মঞ্চেই উপস্থিত হন শওকত মোল্লা।
শওকতের এই পদক্ষেপে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সিবিআই তদন্তের মধ্যে তাঁর এই তলব উপেক্ষা করা নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। তবে, তৃণমূল নেতারা শওকতের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন। আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, CJI-কে চিঠি পড়ুয়াদের