রবিবার রাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা। আর তার পরেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ক্ষোভ বিক্ষোভ। তবে অভিযোগ নতুন নয়, বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের একাংশের দাবি, যাদের পদে বসানো হয়েছে তাদের কেউ চেনেনই না। আর এই অভিযোগ জানিয়ে একেবারে সোশ্যাল মিডি্য়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। এমনকী দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে ধিক্কার জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে এখনও ক্ষমতায় স্বাদ পায়নি বিজেপি। তার আগেই দলীয় পদ নিয়ে বারবার দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর দলের মণ্ডল সভাপতিদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই ফের একবার পুরনো অস্বস্তিতে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যেন্দ্রনাথবাবু লিখেছেন, ‘৪১ নম্বর গঙ্গারামপুর বিধানসভার আজকে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হল। দেখলাম নির্বাচিত বিধায়কদের দল এ কোনো মূল্য নেই। আমি দেখলাম, করদহ, ভিকাহারের মণ্ডল সভাপতিকে আমি চিনিও না, জানিও না। আমার দলে সবাই জানে আমি শুধু বিধায়ক নই, আমি একজন সংগঠক। দলের অত্যন্ত পুরনো সংগঠকদের নাম দিয়েছিলাম মণ্ডল সভাপতি হিসাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য DRO ও জেলা সভাপতি যে ! আমাকে গত বিধানসভায় যে হারানোর চেষ্টা করেছিল ,তার কথায় সভাপতি করেছে। কারণ তারা আগামী নির্বাচনে হারানোর চেষ্টা করবে। আমি ভীষণভাবে দুঃখিত ও সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাচ্ছি। আসা করি দল নির্বাচন জয় এর স্বার্থে বিবেচনা করবে।’
সত্যেন্দ্রবাবুর বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমি সংগঠন দেখি না। ফলে আমি ব্যাপারটা বলতে পারব না। সংগঠনের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলুন।
বলে রাখি, এর আগে সুকান্তবাবু দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের পর একই সমস্যা দেখে দিয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় যাদের জেলা সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অনেককেই কেউ চেনেন না বলে অভিযোগ ওঠে।