স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ – জনতা খণ্ডযুদ্ধ হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হল পুলিশকে। ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত সরস্বতী পুজোর দিন। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি বেরোয় উলুবেড়িয়ার সামুদার বাসিন্দা স্বাতী সামন্ত নামে দ্বাদশের এক পড়ুয়া। কিন্তু বিকেলে বাড়ি ফেরেনি সে। বাড়ির লোকেরা জানতে পারে স্কুলেই যায়নি স্বাতী। বদলে আমির আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে দিনভর নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে সে। এর পরই থানায় আমির আলির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে স্বাতীর পরিবার। আমিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে উলুবেড়িয়ায় রেল লাইনের ধার থেকে স্বাতীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার উলুবেড়িয়া হাসপাতালে গিয়ে দেহ সনাক্ত করে। কিন্তু আমির আলির দাবি, সারাদিন স্বাতী তাঁর সঙ্গে থাকলেও বিকেলে তাঁকে বাড়ির কাছে নামিয়ে এসেছিল সে। তার পর স্বাতী কোথায় গিয়েছে তা জানা নেই তাঁর। যদিও স্বাতীর পরিবারের দবি স্বাতীকে ধর্ষণের পর খুন করেছে আমির। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসায় আমিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা খুনের ধারা প্রয়োগ করেনি পুলিশ।
এই দাবিতে রবিবার রণক্ষেত্র উলুবেড়িয়ার সামুদা এলাকা। আমিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ধারা দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পথ অবরোধ তুলতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে স্থানীয়দের। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষ চলার পর উত্তেজনা কমে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।