অনলাইন ক্লাসের জন্যই পরিবারের সদস্যরা মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন। তবে তাতে ক্লাস তো হয়েছেই। তার সঙ্গেই তাতে চুটিয়ে প্রেমও হয়েছে পুরোদমে। আর তারই পরিণতিতে একেবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ল দুই ছাত্রী। বালুরঘাটের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দুই ছাত্রীর কাণ্ডকারখানায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১৪ বছর। অপরজন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বয়স ১৮ বছর।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য তাদের ফোন কিনে দিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। সেই ফোন একেবারে কাছছাড়া করত না তারা। আর সেই ফোনে থাকা ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আলাপ হয় মালদার দুই যুবকের। ফোনের মাধ্যমেই চলত তাদের কথোপকথন। মাঝেমধ্যে কয়েক ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে বালুরঘাটে দেখা করে যেত ওই দুই বন্ধু। বুধবার সকালে দুই বান্ধবী ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে সেই যে বাড়ি থেকে বের হল । আর ফেরার নাম নেই। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তারা নাকি বিয়ে করে ফেলেছে।
পরিবারের লোকজন মেয়েদের খোঁজ না পেয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। এরপর ফোনের সূত্র ধরেই তাদের খোঁজ পায় পুলিশ। দুজনেই মালদায় ছিল। তাদের আপাতত উদ্ধার করে আনা হয়েছে। পরিবারের আফশোস ফোনটাই কাল হয়ে গেল। ক্লাসের ফাঁকে কখন যে প্রেম জমে উঠত তা টেরই পাননি কেউ।