করোনাভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেগালাম আক্রমণ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘করোনার থেকেও ভয়ানক ভাইরাস’ বলে মন্তব্য করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এহেন আক্রমণ কতটা রুচিশীল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘করোনার থেকে ভয়ানক ভাইরাস ভারতেই রয়েছে। ইয়েস ব্যাঙ্ক শেষ হয়ে গেল। অর্থনীতি শেষ হয়ে গিয়েছে। আট লক্ষ হাজার কোটি টাকা দেউলিয়া করে পালিয়ে গেল। এর থেকে বড় ভাইরাস আর কিছু আছে না কি? সেটা হল মোদী ভাইরাস।‘
তবে কেষ্টদার আশ্বাস, ‘চেষ্টা করা হচ্ছে ভাইরাসটাকে কী ভাবে নষ্ট করা হবে। তার জন্য গবেষণা চলছে। পশ্চিমবাংলা ছাড়া তো এই গবেষণা কেউ করতে পারে না। পশ্চিমবাংলা থেকে আরম্ভ হয়েছে।‘
সম্প্রতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রগানে কুকথা ব্যবহারের অভিযোগে কম বয়সী পড়ুয়াদের দিকে আঙুল উঠেছে। সমাজে সার্বিক অবক্ষয়ের চিত্র বলে এই ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন বহু বিশিষ্টজন। প্রশ্ন উঠছে, শাসকদলের পদস্থ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে আদিজীবের সঙ্গে তুলনা করলে কী শিখবে বর্তমান প্রজন্ম? দায়িত্বপূর্ণ পদে আসীন এই ধরণের কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতাদের মুখে লাগাম পরাবে কে? নইলে তো কম বয়সীরাও ভাববে, ‘তাহলে যাখুশি বলা যায়। যা খুশি করা যায়। কোনও বাধা নেই।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন এলেই ইচ্ছা করে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এভাবেই বিরোধীদের কখনো সরাসরি, কখনো প্রচ্ছন্নে হুমকি দেন তিনি। এটাই তাঁর নির্বাচনী কৌশল। পুরভোটের মুখে তাই ফের একবার ঘনঘন বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তিনি।