ফের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানা এলাকায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাতভর খোঁজের পর অবেশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যৌন হেনস্থার শিকার নাবালিকার বয়স ১৬ বছর। বাড়িতে ঢুকেই নাকি সেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয়। এই আবহে মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছ নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। দায়ের হওয়া সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ৬৪ (২)(১) ধারা এবং পকসো আইনের ৪ (১) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'মমতার ভোটব্যাঙ্কে' থাবা বসাতে অঙ্ক কষলেন শুভেন্দু, উপনির্বাচনেই ফর্মুলা প্রয়োগ?)
আরও পড়ুন: ৩ কি ৪% নয়, ভাতা বাড়ল ৭ গুণ! পকেট ভারী হবে বাংলার কোন সরকারি কর্মীদের?
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল, আক্রান্ত একের পর এক MLA, 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' কুণাল
জানা যায়, পুলিশের অভিযোগ জানানোর কথা জানতেই অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ বিভিন্ন জয়গায় তল্লাশি চালায়। পরে শনিবার গভীর রাতে তালান্ডু রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় সেই যুবককে। উল্লেখ্য, তালান্ডু হল মগরার পরের স্টেশন। আজ ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র বলেন, 'নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' (আরও পড়ুন: বনগাঁয় বিসর্জনের সময় শ্লীলতাহানি কাণ্ডে ধৃত লাল্টু কি সত্যি TMCP নেতা?)
আরও পড়ুন : ৭২০০ কোটির দেনার বোঝায় আঁধারে ডুববে বাংলাদেশ? ১০০% বিদ্যুৎ বন্ধের বার্তা আদানির
এদিকে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের দাবি, ধৃত যুবক নির্দোষ। এই নিয়ে অভিযুক্ত যুবকের মা বলেন, 'অভিযোগকারী তরুণীর বাবার সঙ্গে আমার ছেলে মদ খেত মাঝে মাঝে। সেখান থেকেই কিছু ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে হয়। আর ছেলে খারাপ হয়েছে মা-বাবার জন্যে নয়, সমাজের জন্যে।' (আরও পড়ুন: আবেদনকারী ৭ লাখ, WBPSC ক্লার্কের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করুন এখানে)
এদিকে অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। এই যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গে বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে থাকলে অভিযুক্তের হাত-পা ভেঙে তার পর পুলিশে দিতাম। তাতে আমার যা হয়, হত।' এর আগে গতকালই দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এক ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জল লিখেছিলেন, 'আর সহ্য হচ্ছে না। টিভি দেখতে বসে কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে। মাথা ব্যথা ঠিক রাখা অসাধ্য হয়ে পড়ছে। খুনের পরে খুন, খুনের পরে খুন, ধর্ষণের পরে ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে ধর্ষণ । আর এই অধিকাংশ ধর্ষিত এবং খুন হয়ে যাওয়া সবই প্রায় শিশু ও বালিকা। আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ টাও খুনি ধর্ষকদের উল্লাস ভূমি হয়ে গেল নাকি? কিছুই তো বুঝতে পারছি না! এত সাহস এঁরা পাচ্ছে কী করে? বারবার শান্ত নিভৃত গৃহকোণে ঝাঁপিয়ে পড়ছে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিতে! মানুষের জীবন ও সম্মানের কানা কড়িও দাম এদের কাছে আর নেই ! এত করে খুঁজছি এদের একটাও কেন আমার হাতের নাগালে আসছে না! এলে মনের সব দাহ যন্ত্রণা মিটিয়ে নিই। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। অন্তত একটাকে যদি ধরে ফেলতে পারতাম! হে ঈশ্বর, অন্তত একটা ধর্ষককে আমার সামনে এনে দাও। হে ঈশ্বর!'