পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঘটনায় সিপিএমের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার মিছিল করা হয় কামারহাটি অঞ্চলে। কামারহাটি মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে রথতলা মোড়ে আসে। অভিযোগ, রথতলার মোড়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায় বিধায়ক মদন মিত্রের উপর। এদিকে সিপিএম-এর পালটা অভিযোগ, মদন মিত্র তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঘটনার পর মদন হুঁশিয়ারি দেন, অশান্তি পাকানো হলে বেলঘড়িয়ায় সিপিএম কর্মীদের বাড়ির সামনে মিছিল করবে তৃণমূল। গোটা ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ মদন মিত্র। বেলঘড়িয়া থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাতে সংবাদমাধ্যমকে মদন মিত্র বলেন, ‘সিপিএমকে বাঁচানোর জন্য এমন ভাবে পুলিশ সক্রিয় হয়েছে, মনে হচ্ছে কালকেই মনে হয় সিপিএমের ক্ষমতা চলে আসছে। পুলিশের ভুল হয়েছে।’
মদন আরও অভিযোগ করেন, ‘মিছিল থেকে অশ্লীল ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল।’ এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় থেমে ছিলাম। কিন্তু, রথতলার মোড়ে মদন মিত্রর গায়ে যদি একটা আঁচড়ও লাগে তাহলে ১০ বছর ভুগতে হবে সিপিএমকে।’ মদন দাবি করেন সিপিএম নেতা সায়নদীপ মিত্র তাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলেন, তবে মহম্মদ সেলিম নীরব ছিলেন।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মদন মিত্র তাঁর লোকজন নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের মিছিলে এত ছেলে ছিল, তাই মিছিলের মাঝে ঢুকতে পারেননি। তবে বেশ কয়েক সমাজবিরোধীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তিনি মিছিল বানচাল করার চেষ্টা করেছিলেন। ভেবেছিলেন মিছিল আটকে দেবেন। কিন্তু পরে ওঁরা সরে যান।’