স্কুল চত্বরে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটলেও তার রেশ আজ, শনিবার পর্যন্ত দেখা দেয়। ময়নাগুড়ির পশ্চিম বারো ঘড়িয়া এলাকায় অভিযুক্ত যুবককে গণধোলাই দেন গ্রামবাসীরা। তার পর পুলিশে খবর দিলে ওই যুবককে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ময়নাগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার পঞ্চম শ্রেনির ওই ছাত্রী তার ভাইকে স্কুলে টিফিন দিতে যায়৷ তখনই স্কুল থেকে বেরোবার মুখে আচমকা এক যুবক তাকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। ছাত্রীটি চেঁচাতেই ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন। ওই যুবক মেয়েটির হাত ধরে টেনে স্কুলের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। মানুষজন এসে পড়ায় সে পালাবার চেষ্টা করে। তখন তাকে তাড়া করে পাকড়াও করে মারধর শুরু হয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম তোফাইন হোসেন। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। এরপর নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের মাদার অ্যাণ্ড চাইল্ড হাবে নিয়ে আসা হয়। এখন ছাত্রীটি হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছে। মেয়েট ট্রমায় থাকায় কথা বলতে পারছে না।
স্কুল ঠিক কী বলছেন? এই ঘটনার পর স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক কালি প্রসাদ রায় বলেন, ‘স্কুল শুরু হয়েছিল সবে। মেয়েটি এসেছিল ভাইকে টিফিন দিতে। তখন এই ঘটনা ঘটে যায়। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।