পুলিশ আবাসনের মধ্যেই নাবালিকার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। সেখানে কর্মরত এক রাজমিস্ত্রি বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ঘটনাটি বরানগরের নোয়াপাড়া পুলিশ আবাসনের। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বছর দশেকের নির্যাতিতা নাবালিকা পরিবারের সঙ্গেই থাকে। রোজকার মতো অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেয়েটি খেলতে বেরিয়েছিল। সেই সময় তার বাবা-মা কর্মসূত্রে দুজনেই বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তার ঠাকুমা। সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরেও নাতনি ঘরে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান তার ঠাকুমা। অন্যান্য বাচ্চাদের তার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা সন্ধান দিতে পারেনি। তাদের পরিবারের চিন্তা আরও বেড়ে যায়। দেরি না করে নাবালিকার খোঁজ শুরু করে দেন তিনি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর নাতনিকে আবাসনের একটি কোণে দেখেন ঠাকুমা। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই সমস্ত কথা বলে ফেলে নাবালিকা। সে আরও জানায়, বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে রাজমিস্ত্রি।
পরে নাবালিকার বাবা-মা ঘরে ফিরলে তাদের সমস্ত কথা খুলে বলেন নাবালিকা ঠাকুমা। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মা নাবালিকাকে বরানগর থানায় নিয়ে গিয়ে রাজমিস্ত্রি বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই আবাসনের অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের পাশাপাশি আইপিএস অফিসারদের থাকার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই আবাসন পুনর্নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে কাজে গিয়ে রাজমিস্ত্রি এমন ঘটনা ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ আবাসনের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। যেখানে নিরাপত্তা থাকার কথা সেখানেই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মেয়েরা। পুলিশ আবাসনেই এমন ঘটনা ঘটলে বাইরে কী হতে পারে তাই ভেবে শঙ্কিত অনেকে।