দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন ক্যাম্পে মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধি থেকে সরকারি আধিকারিকদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো হচ্ছে। এবার সেখানে আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পেলেন বর্ধমানের প্রিয়া খাতুন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সরকারি কর্মসূচির তৎপরতায় নিত্য সমালোচনার ধারাবাহিকতায় খানিক থমকাতে বাধ্য হয়েছে বিজেপিও। ২০১৮ সালের রাজ্য বাজেটে ২০১৮–১৯ অর্থবর্ষে রূপশ্রী প্রকল্পে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদানের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রিয়া খাতুন বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাহি মাঠপাড়ার বাসিন্দা। প্রিয়ার বিয়ে ছিল মঙ্গলবার। তরুণীর বাবা শেখ সিরাজ ধার করে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকার জোগাড় করেন। সকালেই কয়েকজন বন্ধুর কাছে জানতে পারেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করা যেতে পারে। পুরসভা খোলার পর সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যান প্রিয়া নিজে। বর্ধমান পুরসভায় রূপশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার কৌশিক মাঝিল্যার এবং আতাহারুল ইসলাম নামে একজন ও অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিকাশ সোনকার আবেদনপত্র নিয়ে প্রিয়ার বাড়িতে গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন।
বর্ধমান পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ বলেন, ‘মেয়েটি যাতে আজই টাকা পায়, তাই আবেদন পাওয়ার পর আমাদের সমস্ত কাজ সেরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ প্রিয়া বলেন, ‘আমাদের মতো সংসারে এই টাকার অনেক মূল্য। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বর্ধমান পুরসভার সকলকে ধন্যবাদ দেব।’
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন, ‘বিজেপি’র কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। এত লক্ষ মেয়ের যে উপকার হয়েছে, সেটা একবারও বলছে বিজেপি? যাকে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা।’