বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, অস্ত্রোপচারও হয়নি, তবুও টাকা কাটার মেসেজ এল!

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, অস্ত্রোপচারও হয়নি, তবুও টাকা কাটার মেসেজ এল!

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, অস্ত্রোপচারও হয়নি, টাকা কেটে নেওয়া হল কিভাবে? উঠছে প্রশ্ন। প্রতীকী ছবি।

যদিও এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারছেন না নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এখনও হাতে পাননি। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি হননি। অথচ অস্ত্রোপচারের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে ৩৭,৫০০ টাকা। এমনই অভিযোগ তুলেছেন মহিষাদলের বাসিন্দা শংকর মান্না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে টাকা কাটার এমন মেসেজ পাওয়ার পরেই তিনি একাধিক সরকারি দফতরে ঘুরে বেরিয়েছেন। তার পরেও কোনও সুরাহা মেলেনি। এখন প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যক্তির স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এখনও হয়নি তাহলে তার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বরাদ্দ অর্থ থেকে টাকা কেটে নেওয়া কিভাবে সম্ভব? আবার তিনি দাবী করছেন কোনও হাসপাতালে সম্প্রতি চিকিৎসাও করেননি! যদিও এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারছেন না নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।

শংকর মান্নার দাবি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য তিনি আবেদন করেছেন তবে সেই কার্ড এখনও হাতে পাননি। এরই মধ্যে পরপর দুদিন তার মোবাইলে মেসেজ আসে। প্রথমে গত ৩ জানুয়ারি তার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয় তিনি তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। এরপর ৫ জানুয়ারি অস্ত্রোপচারের নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে টাকা কেটে নেওয়ার দ্বিতীয় মেসেজটি আসে । সেখানে জানানো হয় অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ তার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে ওই পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।

এই মেসেজ পড়ার পরেই রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি শংকর মান্না। কিভাবে এটা সম্ভব? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল শংকর মান্নার মনে। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তিনি সমস্ত কাজ ফেলে নার্সিংহোম থেকে শুরু করে বিডিও এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

প্রথমে তিনি নার্সিংহোমে যোগাযোগ করলে সেখানে সদুত্তর পাননি। যদিও নার্সিংহোমের ম্যানেজার রাজনারায়ন গাঁতাইত শংকর মান্না নামে এক ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু সেই উত্তর সন্তুষ্ট করতে পারেনি ওই ব্যক্তিকে।

এ বিষয়ে মহিষাদলের বিডিও যোগেশচন্দ্র মন্ডল ওই ব্যক্তির অভিযোগ পাওয়ার পরে সমস্যা কোথায় হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তৎপর হয়েছেন। একইসঙ্গে শংকর মান্না যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পান সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোনও ব্যক্তির নাম এক থাকতেই পারে। তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু,আধার কার্ড এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নম্বর প্রত্যেকের আলাদা। ফলে এখানে কোনও ভুল হয়নি বলেই মনে করছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগ এর সঠিক উত্তর দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়।

প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল, নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। তবে এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

বন্ধ করুন