চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন বহু বেকার যুবক। একটা চাকরির জন্য দিনের পর দিন ধরে অবস্থানে বসছেন অনেকে। তবে ফের আয়ের বিকল্প পথের সন্ধান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার আর চপ ভাজার কথা নয়, চা বিস্কুট ঘুগনির কথা।
মালদায় মমতা জানিয়েছেন, একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও চা বিস্কুট ঘুগনি ইনকাম খারাপ হয় না। চাকরির থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়। ভায়েরা আমার চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার দরকার নেই। মনে রাখবেন বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকে ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। আমরা ১০ লক্ষ ছেলে মেয়েদের পলিটেকনিকের ট্রেনিং দিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েকলক্ষ চাকরি হবে খুব শীঘ্রই। যারা আইটিআই, পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়েছেন। বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তবে এবারই প্রথম নয়, চাকরি ছাড়াও যে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আয় করে জীবনধারন করা যায় তার নানা দিশা আগেও দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস। সেবারও মমতা বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, চা বিস্কুট, ঘুগনি বিক্রির ব্যবসার কথা।
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় খড়্গপুরের একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সেবার বলেছিলেন, আমার এই কথা শুনে অনেকেই টোন টিটকিরি দেন। আমি বলতাম, আপনার কাছে টাকা নেই। আপনি এক হাজার টাকা নিন। এক হাজার টাকা নিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁজ নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন। তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন।
মমতা বলেছিলেন, একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে।দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত মানুষ মাটি থেকে বড় হয়েছে এটা তাঁদের কাহিনি। এটাই তাঁদের গর্ব। আপনি একটা স্কিল ট্রেনিং নিয়ে এলেন, তাঁকে বলব বাড়িতেই দোকান করুন। একটু খেটে খেতে হবে। শরীরের নাম মহাশয়। সুযোগ পেলে শিক্ষকতাও করবেন। আগামীদিনে ৮৯ হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে। সুযোগ পেলে কেন করবেন না।
এর সঙ্গে মমতার পরামর্শ ছিল, দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে।