বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ইয়াসে ক্ষতিপূরণ চাওয়া ৫০% আবেদনই বাতিল, বাড়ি ভাঙার টাকা পাবেন ৮৬,০০০

ইয়াসে ক্ষতিপূরণ চাওয়া ৫০% আবেদনই বাতিল, বাড়ি ভাঙার টাকা পাবেন ৮৬,০০০

ইয়াসে ক্ষতিপূরণ চাওয়া ৫০% আবেদনই বাতিল, বাড়ি ভাঙার টাকা পাবেন ৮৬,০০০। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

‌ইয়াসে বাড়ি ভাঙার টাকা পাবেন ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে এই ক্ষতিপূরণ পেতে যত মানুষ আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরই আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সেই সব বাতিল হওয়া আবেদনপত্রের মধ্যে কোনওটা অসম্পূর্ণ রয়েছে, কোনওটায় আবার প্রয়োজনীয় তথ্য নেই।

নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য ৩ লাখ ৮১ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজার আবেদনকারী ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। ইতিমধ্যে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য ৩০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই জেলা থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৭১টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। অন্যদিকে ‌পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যতগুলি আবেদনপত্র জমা পড়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বাড়ি ভাঙার বিষয় জানিয়ে। এক্ষেত্রে ২ লাখ ৪৭ হাজার বাড়ি ভাঙার অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে ৪০ শতাংশ এনকোয়ারি রিপোর্ট জমা পড়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৮ হাজার ১০০টি আবেদনপত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস হয়ে যাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্তদের সাহায্যার্থে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শস্যের ক্ষতির ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষককে ১ হাজার টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের সাহায্যের জন্য পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও গবাদিপশুর ক্ষেত্রে, হর্টিকালচার ও ফিশারির ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্যের কথাও জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। এর আমফানের সময়ে ত্রাণ বণ্টন নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি রাজ্য সরকারের কানে আসে। ইয়াসের সময়ে যাতে এই একই ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনিকস্তরে রাখতে চাইছে সরকার।

বন্ধ করুন