এবার মালদহে কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৫০০–এর বেশি তৃণমূল কর্মী। যদি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় ঘাসফুল শিবিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছে। অনেক তৃণমূল কর্মীই এই যোগদানকে ঠিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না। এদিন এই যোগদানের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ।
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কার্যালয়ে ৫০০–এর বেশি কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন এই বিপুল সংখ্যক কর্মী। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের কর্মী সমর্থকরা এই যোগদানকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ, দলের কর্মীদের অন্ধকারে রেখে কেন এভাবে অন্য দল থেকে যোগদান করানো হল।এদিন এই যোগদানের বিরোধিতা করে তৃণমূলের একাংশের কর্মী সমর্থকরা তুলসিহাটার ভবানীপুর ব্রিজে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।অনেক তৃণমূল সমর্থকরাই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন।দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই মালদহ থেকে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি কংগ্রেস। এখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হতেই এবার দলবদলের ঝোঁকও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এর আগে মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসার পরও অবশ্য মালদহের বিজেপি শিবিরেও ভাঙন ধরে।হরিশ্চন্দ্রপুরে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেস ছেড়ে এভাবে তৃণমূলে যোগদানের ফলে ঘাসফুল শিবিরে অসন্তোষ তৈরি হলেও তৃণমূলে যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্যের অবশ্য দাবি, তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভালো লাগছে। কে কোথায় বিক্ষোভ করছে, তা দেখে লাভ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে কাজ করব।