সোনার দোকানে চুরির মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ারের আদালত। এটা ২০২২ সালের ঘটনা। তখন কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার এই মামলায় আজ, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। প্রায় ১৪ বছর আগে আলিপুরদুয়ারে দু’টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল নিশীথের। তা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আলিপুরদুয়ার থানায়।
এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও নিষ্পত্তি হয়নি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামবেন এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তখন সমস্যা হলেও হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তাই মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ার আদালতে পৌঁছন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী–সমর্থক। এদিন আদালত চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তায়।
এদিকে ইদানিং মাঝেমধ্যেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই পুরনো মামলার প্রসঙ্গ তুলে বারবার কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তবে নিশীথ প্রামাণিক গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং কোচবিহার আসন থেকে জয়ী হন। পুরনো মামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে উত্তরের জেলায় জেলায়।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন দু’টি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগ ওঠে নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। তবে ২০১৯ সালে নিশীথ সাংসদ হওয়ার পর ওই মামলাটি বারাসাতের এমপি আদালতে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে নিশীথের আবেদনের ভিত্তিতে ওই মামলাটি ফের আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ওই ঘটনাকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামে তৃণমূল কংগ্রেস।