ঠাকুর বাড়িতে যাওয়া সময় কয়েকজন মতুয়া পুণ্যার্থীদের উপর হামলা হয়েছিল। বাসেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতে পুণ্যার্থীদের মারধর এবং বাস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বারাসত–যশোর রোডের কাছে ঘটনাটি ঘটেছিল। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এই হামলার প্রকৃত সত্য জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী? সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘এসপি মন গড়া কথা বলতেই পারেন। কারণ তিনি শাসকদলের তামাক খেয়েছেন। যেখানে তীর্থযাত্রীদের বাস আটকে নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়, মেয়েদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয় সেই তদন্তে এসপি কোন ধারা দিয়েছে তা আগে উনি জানাক। ধর্মীয় আচার বিধিতে বাধায় কোন ধারা দেওয়া হয় সবটাই আমরা খতিয়ে দেখব। ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। এখানে সিবিআই তদন্ত করা উচিত।’
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৩০ মার্চ ঠাকুরবাড়িতে আসছিলেন কয়েকজন পুণ্যার্থী। অভিযোগ, বারাসত–যশোর রোডে দুষ্কৃতীরা সেই বাসে হামলা চালায়। পুণ্যার্থীদের মারধর করে এবং বাসে ভাঙচুর চালায়। পুণ্যার্থীদের বাসের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। তা থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা এবং পরে ওই বাসে উঠে হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার পর মতুয়ারা বুঝে নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তারপর মতুয়ারা হাবড়ায় রেল অবরোধ করেন। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্তা আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে জলঘোলা শুরু হয়। এই ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।