এবার নিজের এলাকায় একাধিক রেল প্রকল্প এবং ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈঞ্চবকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও সড়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তবে শুধুমাত্র নিজের এলাকা বনগাঁয় একাধিক রেল প্রকল্র দাবি করেছেন বলে অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে কেন অন্যান্য জেলার কথা ভাবলেন না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
শান্তনু ঠাকুরের চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, তিনি মোট পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। এক, আরও ট্রেন বাড়ানো এবং ঠাকুরনগর স্টেশনে নতুন প্ল্যাটফর্ম করার আর্জি জানিয়েছেন। দুই, বনগাঁ কেন্দ্রে স্পেশাল কিষাণ রেল চালু করতে বলেছেন। তিন, রানাঘাট–বনগাঁয় ডবল লাইন করার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। চার, ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হোক বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর পাঁচ, বেশ কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে বলেছেন তিনি। যথা—বনগাঁ–আলিপুরদুয়ার, বনগাঁ–নয়াদিল্লি ও বনঘাঁ–চেন্নাই।
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে প্রতিটি জেলার সংগঠনে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখানেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। সংগঠন তো বটেই বাগদার বিধায়ক পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতি দেখে বনগাঁর মানুষের মন পেতে চাইছেন শান্তনু ঠাকুর। তাই একদিকে দলের নেতা–কর্মী অন্যদিকে মানুষের মন রাখতেই এই প্রকল্পগুলি চালু করতে চাইছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মতুয়াদের মধ্যে দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছে। সিএএ–এনআরসি ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বিজেপির সংগঠন। একটা অংশ এসে মিশেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেও এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। মানুষের এই ক্ষোভ তিনি এভাবেই প্রশমন করতে চান। শান্তনুরও ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। এখন দেখার কবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়।