মসজিদের মাইকের ঘোষণায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিল সফিকুল আলিকে। ময়নাগুড়িতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে তিনিও একজন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয় ভর্তি ছিলেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ফোন হারিয়ে গিয়েছিল তার। পরিবারের কোনও নম্বর তার মনে ছিল না। প্রতিবেশীর একজনের নম্বরে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় নামাজ শেষে মসজিদের মাইকের ঘোষণা তাকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিল।
এ ঘটনা যেন কোনও অংশে সিনেমার চেয়ে কম কিছু নয়। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় অন্যান্য আহতদের সঙ্গে সফিকুলকে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই সফিকুলের কথা জানতে পারেন।
সফিকুল প্রতিবেশীর ফোন নম্বর মনে করার পরেই রেলমন্ত্রী দ্রুত ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, প্রতিবেশীকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয় পোস্ট অফিসকে সফিকুলের বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু, তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি পোস্টম্যান।
ঘটনাক্রমে সেই সময় মসজিদে আজান হয়। আজান শোনার পরেই সফিকুলের সম্পর্কে মসজিদে মাইকে ঘোষণা করার কথা মাথায় আসে রেল কর্তাদের।
কোনও দেরি না করে নামাজ শেষ হওয়ার পরেই সফিকুলের কথা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শফিকুলের খোঁজে ময়নাগুড়িতে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাক্রমে সেই সময় তারা সেই মসজিদ এই নামাজ পড়ছিলেন। ঘোষণা শোনার পর কোনওরকম দেরি না করে তারা হাসপাতালে গিয়ে শফিকুলের সঙ্গে দেখা করেন। সফিকুলকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি তাদের তার পরিবারের লোকেরা।